বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার- শরীর সুস্থ রাখবে যে ১০টি খাবার

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে জানুন আর আপনি কি আপনার সন্তানের শরীর নিয়ে চিন্তিত, তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার
যেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে আপনার সন্তানের সমস্ত সমস্যার সমাধান গুলো নিজেই বের করতে পারবেন। তাই বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত, শরীর সুস্থ রাখবে যে ১০ টি খাবার সে সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা থাকা খুবই প্রয়োজনীয়।

পেজ সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে যান ক্লিক করুন

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে প্রথমে আসে দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার। শিশুদের হাড়ের সঠিক বৃদ্ধি এবং মজবুত করার জন্য তার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য। দুগ্ধ জাতীয় খাবারে উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।দুধে আরো অনেক রকম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে।কোন বাচ্চা যদি দুধ খেতে না চায় তাহলে তাকে জোর করে ওষুধ খাওয়ানোর মত করে দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। 

দুধে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বলতে পটাশিয়াম ভিটামিন A ভিটামিন D প্রোটিন এবং B12 আছে। তারপরও যদি একান্তেই দুধ বাচ্চারা খেতে নাই পারে তাহলে দুধের পরিবর্তে পনির,দই, ছানা ,মাখন এসব খাওয়াতে পারেন।এছাড়াও দুধের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে আর ভিটামিন D শরীরে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হাড় শক্তিশালী ও মজবুত রাখার জন্য দুধের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকরী। 
ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস হচ্ছে দুধ প্রতি এক গ্লাস অর্থাৎ ২৫০ মিলি দুধে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা দৈনিক চাহিদার ২৫ শতাংশ সরবরাহ করে।নিয়মিত দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের ফলে আর যেমন শক্ত থাকে তেমনি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও কম করে। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার গুলি নিয়মিত সাধারণত চকলেট বিভিন্ন তাজা ফল স্ট্রবেরি মিল্কশেকের মত বিভিন্ন খাবার দুধের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত আপনার শিশুকে সেবনকারতে পারেন।

তাই আপনার বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন এবং সে অনুযায়ী আপনার শিশুর যত্ন নিন আজকেই শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাই এখন থেকে শিশুদের ভালোভাবে ছোট থেকে যত্ন করে বড় করে না ধরলে তারা ভবিষ্যতে ভালোবাসা করতে পারবে না ক্যালসিয়াম জনিত বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারে।

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সয়াবিন

সয়াবিনের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখলে আপনার শিশুর ক্যালসিয়ামের কোন ঘাটতি হবে না। প্রতি খাদ্য উপযোগী ১০০ গ্রাম সয়াবিনে রয়েছে খাদ্য শক্তি ৪৩৬ কিলো ক্যালরি এছাড়াও আমিষ বা প্রোটিন ৪৩ গ্রাম তেল ২০ গ্রাম শর্করা ৩৩ গ্রাম আঁশ ৩.৭ গ্রাম এবং খনিজ দ্রব্য ৪.৬ গ্রাম।বিভিন্ন প্রকার সয়াবি ভিত্তিক খাবার যেমন টফু, সয়ামিল্ক এবং সয়াবিনের পিসগুলো ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

এতে প্রোটিন ও বেশ ভালো পরিমাণে থাকে আর সয়ামিল্কে ও দুধের মতই ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই ক্যালসিয়াম ভুক্ত খাদ্য তালিকার মধ্যে সয়াবিন ও অন্যতম ভূমিকা পালন করে।প্রাচীন চীনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় প্রায় আড়াই বছর আগে সে দেশে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় সয়াবিন একটি পবিত্র ফসল হিসেবে বিবেচিত হতো। তাছাড়াও সয়াবিন থেকে উৎপাদিত দুধ অথবা তফু অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চিন্তাধারাও অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তার সঙ্গে পাল্টে গেছে তাদের রুচি বোধ মানুষ আর এখন শুধু ক্ষিধা মিটানোর জন্য খাদ্য গ্রহণ করেনা সচেতন মানুষ এখন ডাইনিং টেবিলে পাহাড়ি রকম পুষ্টিকর খাবারের সন্ধান করে থাকে। তাই আপনার সন্তানের যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে থাকে তিনিও তাকে ও দৈনন্দিন খাবারের দ্বারে খাই এই খাবারটি যুক্ত করতে পারেন তাছাড়া সয়া দই,সয়া মিল্ক, ভাতের মধ্যে সয়া টুকরো, 

টোফু রোল, তেলে ভাজা সয়া টুকরো বা টফু, এবং সয়াবিন ভিত্তিক তরকারি আকারে বা এভাবে নানা রকম উপায়ে সয়াবিন সরবরাহ করতে পারেন শিশুদের।

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সবুজ শাকসবজি

আপনার সন্তানের যদি ক্যালসিয়ামের সমস্যা থেকে থাকে শরীরে তাহলে আপনি তাকে তার দৈনন্দিনখাবারে কিছু সবুজ শাকসবজি দিতে পারেন। সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, সরিষার শাক, পাতাকপি ব্রকলি বরবটি সিম এমন জাতীয় যত সবুজ শাকসবজি আছে তার মধ্যে থেকে আপনি আপনার সন্তানকে নির্দিষ্ট কিছু সবজি প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন।এই সমস্ত সবুজ সবজিতে যেমন রয়েছে ক্যালসিয়াম তেমনি রয়েছে ভিটামিন A আইরন ভিটামিন C ও 
বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সবুজ শাকসবজি


ফোলিট এগুলো ফাইবার দিয়ে ভরপুর। শিশুরা প্রথম ৬ মাস বুকের দুধ সেবন করে তারপর ৬ মাস পর থেকেই শিশুদের বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। তখন থেকেই অল্প অল্প পরিমাণ শাক-সবজি, খিচুড়ি এমন আরো খাওয়ানোর অভ্যাস খুবই ভালোপ্রথম থেকেই বাচ্চাদের শাকসবজি এ সমস্ত খাওয়ানোর অভ্যাস করলে সেই বাচ্চার কোনদিনও ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না তারপরও আপনি তখন থেকে বুঝতে পারবেন যে আপনার সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তখন থেকে 

আপনি এই বিভিন্ন প্রকার সবুজ শাকসবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে পারেন এতে আপনার সন্তানের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না।শিশুদের প্রতিদিন অন্তত ৩/৪ কাপ সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞগণ। পাতলা যুক্ত সবজিগুলো ডাক্তাররা সুপ আকারে করে খাওয়ার কথা বলেন। তো এভাবে আপনি আপনার শিশুর খাবারে বিভিন্ন প্রকার সবজির আইটেম করে খাওয়াতে পারেন এতে আপনার শিশু শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না কোনদিন।

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার আমন্ড বাদাম

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম খাবার গুলোর মধ্যে আরেকটি অন্যতম খাবার হলো আমন্ড বাদাম। তবে অনেকগুলোই বাদাম রয়েছে যেগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম তবে আমন্ড বাদামে রয়েছে আরো বেশি মাত্রার ক্যালসিয়াম।এক তৃতীয়াংশ আমন্ড বাদামে থাকে প্রায় ২৬৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। তাছাড়াও IFCT ২০১৭ অনুসারে আমাদের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ২২৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। আমন্ড বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে 
প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারী উপাদান। আপনার শিশুকে যদি প্রত্যেকদিন কিছু পরিমাণে আমান্ড বাদাম সেবন করাতে পারেন তাহলে  আপনার সন্তানের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কোনদিনও হবে না এবং তার সাথে শরীর সুস্থ রাখবে প্রচুর তাই শরীর সুস্থ সবল রাখতে আমন্ড বাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা যা ক্যালসিয়াম না থাকার মত সমস্যা দূর করে।

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার এই কয়েক রকম ফল

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফলও এই ফল গুলোর মধ্যে যদি আপনি কোনটা নিয়ম করে আপনার বাচ্চাকে খাওয়ান তাহলে আপনার বাচ্চা শরীরে কোন ক্যালসিয়ামের অভাব হবে না এবং ক্যালসিয়াম জনিত কারণে কোন সমস্যা দেখা দেবে না। কোন ফল গুলো ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে নিচে তার একটি তালিকা দেয়া হলো:
বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার এই কয়েক রকম ফল

১.কমলালেবু

কমলালেবু এক ধরনের সুস্বাদু ফল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কোলিন ,ফসফরাস অন্যান্য উপাদানের পূর্ণ একটি ফল। কমলালেবুতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যাকে বলা হয় প্যাকটিন এটি রক্ত স্রোতে শোষিত হওয়ার আগে শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করে

বাচ্চাদের শরীর সুস্থ রাখতে জন্য ক্যালসিয়াম খাবার গুলোর মধ্যে কমলালেবু অন্যতম একটি ফল। এটি যদি আপনার শিশুকে নিয়মিত একটি করে খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানের শরীরের ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য আরো যে ভিটামিন গুলো দরকার একটা মানব দেহে সে সমস্ত কিছু পূরণ করবে এবং আপনার সন্তান ভালো থাকবে।

২. পেঁপে

কমলালেবুর মত পেঁপে শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। পেঁপে  সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি ফল পুষ্টিগুণ বিবেচনায় পেঁপে অনেক ফলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে । পেঁপে অনেক ভাবে খাওয়া যায় আচা পেঁপে পাকা পেঁপে দুটোই খাওয়া যায় সালাতে রান্নায় ফল হিসেবে খাওয়া যায়। পেঁপে শরীরে অনেক উপকারের করে। জেনে নিন পেঁপে আমাদের শরীরে কি কি করে:

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • হজম শক্তি বাড়ায়।
  • কোলেস্টেরল কমায়।
  • ওজন কমায়।
  • ত্বকের জন্য উপকারী।
  • ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করে অ্যান্টিঅক্সাইড এর ও ক্যারোটিনের উৎস।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে হাড় মজবুত করে।
তাই আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আপনি আপনার সন্তানকে পেঁপে খাওয়াতে পারেন তাহলে কোনদিনও আপনার সন্তানের শরীরে কোনরকম অসুবিধা বা খারাপ প্রভাব করবে না।

৩. পেয়ারা

পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম সহ আরো নানা উপকারী ভিটাবেন। একটা মাঝারি সাইজের পেয়ারায় রয়েছে ১০০ ক্যালরি ও ২০ গ্রামের মতো শর্করা, চর্বির পরিমাণ খুবই কম ফাইবার থাকে ৯ গ্রাম আমিষ থাকে প্রায় ৪-৫ গ্রাম

তাই আপনার সন্তানের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে হতে পারেন পেয়ারা, পেয়ারা খুবই একটি উপকারী ফল।

৪.আনারস

প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ ভিটামিন সি পটাশিয়াম ফসফরাস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্য ও উপকারী গুণ কি কি উপকার হবে চলুন দেখে নি

  • পুষ্টির অভাব পূরণ করে
  • হজম শক্তিকে উন্নত করে
  • ভাইরাস জনিত ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধ করে
  • দাঁত ও নারীর সুরক্ষা দেয় 
  • যত্ন ব্যবহার হয় 
  • হাড়ের সমস্যা জনিত রোগ প্রতিরোধ করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে
  • কৃমিনাশক হিসেবে সহায়তা করে

বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার হিসেবে বিভিন্ন প্রকার ডাল

বাজারে বিভিন্ন প্রকার ডাল পাওয়া যায় যেগুলো আমাদের সবার বাড়িতেই প্রায়দিনই রান্না হয়ে থাকে। এই ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, আপনি আপনার সন্তানকে এ সমস্ত ডাল যদি খাওয়ান তাহলে আপনার সন্তানের শরীর খুব ভালো থাকবে এবং ক্যালসিয়ামের কখনো অভাব হবে না। অনেক প্রকার ডালের মধ্যে রয়েছে
  • মুগ ডাল ।
  • মসুর ডাল।
  • ছোলার ডাল।
  • আড়লের ডাল।
  • বিউলির ডাল।
ওপরের এ সমস্ত ডাল গুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম প্রোটিনে ভরপুর এই ডালগুলো ভিটামিন ও খনিজ আমরা এ ডাল থেকেই পেয়ে থাকি আপনার সন্তানের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে ডালের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকরী।এই ডাল গুলি নিয়মিত আপনি আপনার সন্তানের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানের শরীরে কখনোই ক্যালসিয়ামের কোন অভাব দেখা দিবে না। 

আর যদি এই মুহূর্তে সন্তানের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটে দেখা যায় তাহলে নিয়মিত এগুলো খাওয়ানো শুরু করুন।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার বিভিন্ন প্রকার মাছ

ক্যালসিয়াম সাধারণত মাছে পাওয়া যায় প্রাথমিকভাবে, তবে কিছু মাছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকতে পারে যেমন রুই, কাতলা, সিং ,ইলিশ, টুনা ,সালমান এবং সার্ডিন মাছে ও  ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায় তাছাড়াও চিংড়ি, মাগুর, শ্রীমান ,রূপচাঁদা এবং কোন মাছে কিছু মাত্রা ক্যালসিয়াম  থাকতে পারেআপনার সন্তানকে দৈনন্দিন অন্য খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত বিভিন্ন প্রকার মাছ খাওয়াতে পারেন। 

তাতে আপনার সন্তানের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে তাছাড়াও আরো অনেক সমস্যার সমাধান করবে শরীর সুস্থ ও ভালো থাকবে।তাই যেসব মাছে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি সেগুলো আপনি আপনার সন্তানকে খাওয়াতে পারেন শিঙি মাছের পুষ্টিগুন অন্যান্য যে কোন মাঝে তুলনা অনেক বেশি এই মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়াম এর মতো খনিজ উপাদান অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে, যেটি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের মধ্যে আরেকটি রয়েছে ডিম

 উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি বড় উৎস হলো ডিম, এটি সারা বিশ্বে অনেক ব্যবহৃত হয় খাদ্য হিসেবে। তবে এটি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হিসেবেও ব্যবহার করে থাকেন অনেকে যাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা নিয়মিত অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি ডিমও খেয়ে থাকে।আপনার সন্তানের শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তবে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি থাকে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ান এতে তার স্বাস্থ্য উন্নতি ঘটবে। 
সারাদেশে বেশিরভাগ মানুষজন তাদের দৈনন্দিন খাবার হিসেবে কোন খাবারে পাশাপাশি ডিমও খায় এতে তাদের শরীরে অনেক ভালো প্রভাব পড়ে।আপনি আপনার সন্তানের শরীর নিয়ে যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে থাকেন বা চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার সন্তানকে রেগুলার খাবারের পাশাপাশি একটি করে দিন খাওয়াতে পারেন এতে আপনার সন্তানের শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি পাবে ও পাশাপাশি আরো অনেক সমস্যা দূর হবে এবং আপনার সন্তান সুস্থ সবল ভালো শরীরের অধিকারী হবে।

ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার সবুজ মটরশুঁটি

সবুজ মটরশুঁটি এক ধরনের ফল এবং ভোজ্য উদ্ভিদ তবে এটাকে আমরা সবজি হিসেবে ব্যবহার করে থাকি এর রয়েছে প্রচুর গুনাগুন। আপনার শিশুকে যদি সবজির মধ্যে বা যে কোন খাবারের মধ্যে, খিচুড়ির মধ্যে মটরশুটি দিয়ে খাওয়াতে পারেন তাহলে এটা খুবই আপনার সন্তানের শরীরের জন্য উপকারী। মটরশুটিতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে চলুন দেখে নিই

  • প্রোটিন
  • ভিটামিন C
  • ভিটামিন K
  • ভিটামিন A
  • ভিটামিন B1
  • ভিটামিন B2
  • ভিটামিন B3
  • ভিটামিন B6
  • ভিটামিন B9
  • ক্যালসিয়াম
  • আইরন
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ফসফরাস
  • সোডিয়াম
তাহলে দেখে বুঝতেই পারছেন একমাত্র মটরশুটিতে কতগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তাই আপনি আপনার সন্তানকে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মটরশুটি দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে শরীরের নানা উপকারিতা মিলবে ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য ছোলা বুট

উপরের অন্যান্য খাদ্য গুলোর মত ছোলাও এক ধরনের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছোলা। ছোলাতে আছে, ভিটামিন E ভিটামিন A ভিটামিন C ডায়েটারি ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আইরন। ছোলা  নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।এজন্য আপনি আপনার সন্তানকে নিয়মিত ছোলা খাওয়াতে পারেন, ছোলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য গুণ যদি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে। 

তাছাড়াও ছোলা প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। ছোলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান বিভিন্ন ক্যান্সার এবং টিউমার বৃদ্ধির রোধ করে ও শরীরকে সুস্থ সবল রাখে।

লেখক এর শেষ কথা

আমরা জানি আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনে প্রতিদিন এতগুলো খাবার মেনটেন করে খাওয়ানো সম্ভব না তাই আপনি যতটুকু পারবেন যে ২-১ টা পারবেন সেগুলোই নিয়ম করে খাওয়াবেন যেটি আপনার জন্য সহজ হবে সেটি আপনি করবেন এতে ও আপনি আশানুরূপ ফলাফল পাবেন।আপনার সন্তানের হাড় ও পেশীর শক্তিশালী গঠন সুস্থসবল ও সুখী হওয়ার জন্য নিখুঁত ভিত্তি স্থাপন করতে পারেন আপনি নিজেই তাই সন্তানের শরীরের দিকে মনোযোগী হন 

এবং আপনার সন্তানকে সুস্থ ভাবে বড় হয়ে উঠতে সহায়তা করুন ও খেয়াল রাখুন। আর এইসব কারণেই আপনার সন্তানের রোজকার খাবারে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এই নিউট্রিয়েন্টটি শক্তিশালী হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধি এবং বিকাশকে বাড়ানোর পাশাপাশি তার সমস্ত শরীরের ভালো স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url