প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

 আমাদের অনেক কিছুই খাওয়া উচিত তবে যা কিছুই খায় না কেন তার নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ থাকা প্রয়োজন চলুন দেখে নেয়া যাক প্রতিদিন আমাদের কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত।








আমরা প্রতিদিনই কোন না কোন খাবারে কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। এমন কোন বিশেষ বিশেষ খাবার আছে যেগুলো তে কিসমিস ছাড়া চলে না। বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদদের মতে একজন মানুষের একদিনে প্রায় 40 থেকে 50 গ্রাম কিসমিস খাওয়া প্রয়োজন।
পেজ সূচিপত্র:

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস খুবই উপকারী একটি খাদ্যদ্রব্য। এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন মিনারেল খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখে।  এছাড়াও রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত শূন্যতা কমায় ,হজম শক্তি বাড়ায় ,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

কিসমিস হল শুকনো আঙ্গুর যা কিনা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন প্রকার খাদ্য প্রস্তুতের সময় রান্নাতে ব্যবহৃত হয়। এটি বেশ প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে শক্তি ক্যালোরি ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে। কিসমিস কেবল স্বাদের দিক থেকেই অতুলনীয় নয় এর রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা।

এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট আর এর মিষ্টি স্বাদ শরীরকে প্রচুর শক্তির যোগান দেয়। বেশিরভাগ মহিলারা আইরনের সমস্যায় ভোগেন তারা বিভিন্ন সময় আয়রন জনিত সমস্যার কারণে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েন এবং রক্তস্বল্পতায় ভুগেন। কিন্তু এই কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরে আইরন জনিত সমস্যা দূর করে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই উপকারী

কিসমিসে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ  উপাদানগুলো এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে এর পাশাপাশি সিস্টেম থেকে টক্সিন অপসারণ এর পাশাপাশি গাউট কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো জটিল ও কঠিন রোগ প্রতিরোধ অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন যদি আমরা কিসমিস নিয়মিত সেবন করি তাহলে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাব। 

 হজমে উপকারী

প্রতিদিন নিয়মিত যদি আমরা কিছু কিসমিস খাই তাহলে সেটি আমাদের হজমতন্ত্রকে অনেক ভাবে সক্রিয় করে তোলে। অনেকেই আছেন যাদের হজমে অনেক সমস্যা দেখা দেয় তারা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু কিসমিস খান তবে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কিসমিসে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে তা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে এবং পেটে রেসক প্রভাব দেয় ও কষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

 রক্তস্বল্পতায় উপকারী

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন থাকায় এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে বিশেষ করে কিসমিসে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। কেউ যদি প্রতিদিন কিসমিস খায় তবে তার রক্তস্বল্পতা দূর হবে এবং নতুন রক্ত কণিকা তৈরি হবে তাহলে সে আগের তুলনায় অনেক সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী

কিসমিসে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে যা টিউমার এবং কোলন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। প্রতিদিন নিয়মিত এই ড্রাই ফুড কিসমিস খাওয়ার ফলে তার শরীরে ক্যানসার নামক বিষাক্ত জীবাণু শরিলে বাসা বাঁধতে পারে না। ফলে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকরী বলে বিবেচনা করা হয়।

সংক্রমণের চিকিৎসায় সাহায্য করে

কিসমিসে রয়েছে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যেটি কিনা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি 
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে সুপরিচিত। আর এটি এন্টিবায়োটিক্যাল বৈশিষ্ট্য গুলো প্রদর্শন করায় তা জোরে ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে এ জন্য দিনে কয়েকটি কিসমিস খেলে তা আপনার ঠান্ডা এবং অন্যান্য সংক্রমক থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও রয়েছে কিসমিসের আরো অনেক উপকারী গুণ।

কিসমিসের কিছু অপকারিতা

কিসমিসের যেমন রয়েছে অনেক উপকারিতা তেমনি এটা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এর কিছু ক্ষতিকারক দিক বা অপকারিতা হতে পারে। অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়ার কিছু ক্ষতিকরও প্রভাব পড়তেই পারে। কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি বা যেটুকু জানি সেটুকু সঠিক কিনা না সঠিকটা জানি কিনা জেনে রাখা আবশ্যক। চলুন নিচে দেখে নেয়া যাক কিসমিসের কিছু অপকারিতা সম্পর্কে:

কিসমিস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়

কিসমিস একটি উচ্চ গ্লাইসেমিক খাবার। অর্থাৎ এটি শরীরে শর্করা বা সুগারের মাত্রা দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া উচিত নয় কারে এটি তাদের রক্তের শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে দিবে ফলে তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়ে যাবে। তো যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের অবশ্যই অতিরিক্ত কিসমিস গ্রহণে সতর্ক থাকতে হবে।

দ্রুত ওজন বাড়ায়

আমরা যারা অতিমাত্রায় অনেকটাই স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি তাদের অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া একদম উচিত নয়। তো দেখা যাচ্ছে আমরা অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন ডায়েট বা এক্সেসাইজ করে থাকি তারপরেও ড্রাই ফুড হিসেবে আমরা যখন অতিরিক্ত কিসমিস সেবন করে ফেলি তো সেই ক্ষেত্রে এক্সেসাইজ করেও কোন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না কারণ।














এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url